Homeদেশের গণমাধ্যমেনেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলের রাজপথ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েলের রাজপথ


একদিকে গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী, অন্যদিকে খোদ ইসরায়েলেই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে হাজারো মানুষ। গাজায় নতুন করে হামলা শুরুর প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

গতকাল শনিবার রাজধানী তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই হামলার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হেনেছেন নেতানিয়াহু। তারা গাজায় নতুন আরেকটি যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কও অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সবচেয়ে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছে জেরুজালেম ও তেল আবিব। এ ঘটনায় ১২ জন বিক্ষোভকারীকে আটকও করেছে ইসরায়েলের পুলিশ। সমালোচকরা বলছেন, রোনেন বারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও এগুলোর ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে চাইছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত মঙ্গলবার গাজায় নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য হওয়া ওই চুক্তি গাজাসহ ওই অঞ্চলে খানিকটা স্বস্তি বয়ে এনেছিল। তবে নতুন করে ইসরায়েলি হামলার পর গাজা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তিনি রোনেন বারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। ২০২১ সালে গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রোনেনের বরখাস্তের আদেশ আগামী ১০ এপ্রিল কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।

নেতানিয়াহু সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই ফুঁসে ওঠে ইসরায়েলিরা। টানা তিন দিন ধরে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে। তবে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় হামলা চালানোর পর ইসরায়েলিরা আর ঘরে বসে থাকেনি। দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে তারা।

নেতানিয়াহু রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। এমনকি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি থাকা ৫৯ ইসরায়েলির ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলছেন নেতানিয়াহু। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো ২৪ জন ইসরায়েলি জিম্মি জীবিত রয়েছেন। যুদ্ধের পরিবর্তে তাদের ফিরিয়ে আনতেই আগ্রহ বেশি সাধারণ ইসরায়েলিদের।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আমরা দেড় বছর পর আবারও গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধ দেখছি। এখনো গাজার ক্ষমতায় হামাস। এখনো ওই সংগঠনের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়ে গেছে। সুতরাং এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার তার লক্ষ্য অর্জনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত