উপজেলায় শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। এসব টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে উপজেলার কমপক্ষে ১ লাখেরও বেশি পরিবার।
খরা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার হস্তচালিত নলকূপ অকেজো হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সুন্দরপুর, পাইন্দং, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, বখতপুর, ধর্মপুর, ভূজপুর, কাঞ্চন নগর ও রোসাংগিরী ইউনিয়নের অনেক গ্রামে টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। এ ছাড়া ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও টিউবওয়েলে মিলছে না পানি।
দাঁতমারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. নুরুল হুদা বলেন, এখানকার ৫০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। বাকি নলকূপগুলোতে অল্প অল্প পানি উঠছে। ফলে নিত্য ব্যবহারের জন্য পানি মিলছে না।
নারায়নহাটের চান্দপুর এলাকার বাসিন্দা বোরহান বলেন, আমাদের গ্রামে ধান চাষ করার জন্য দুটি সাবমার্সিবল পাম্প আছে। মূলত ওই পাম্পগুলোর কারণে গ্রামের সব হস্তচালিত নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পানি উঠছে না এমন নলকূপের সঠিক সংখ্যা তাদের জানা নেই। তাদের বরাদ্দকৃত নলকূপের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। এ ছাড়া পুরো উপজেলায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত স্থাপিত হয়েছে প্রায় ১০ হাজার গভীর নলকূপ।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) রাশেদুজ্জামান বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রায় ৫০ ফুটের বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এ সময়টায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দেয়। নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৮০ ফুট পর্যন্ত গভীরতা নিশ্চিত করলে, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নামলেও পানি পাওয়া যাবে।