জুলাই ফাউন্ডেশনের সহায়তা পাওয়ার জন্য ফটোশপ করা ছবি জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নয়ন সিকদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গাজীপুরের একটি দোকানে কাজ করা ওই ব্যক্তি গণ-অভ্যুত্থানে আহত দাবি করে একটি ছবি জমা দেন জুলাই ফাউন্ডেশনে। ছবিটি দেখে সহজেই বোঝা যায় এটি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করা।
জুলাই ফাউন্ডেশন প্রতারণার বিষয়টি ধরে ফেলার পর নয়ন বলেন, “তিনি গাজীপুরে একটি দোকানে কাজ করেন। ভুয়া কাগজপত্রের সঙ্গে আবেদন বিশ্বাসযোগ্য করতে ছবিটি দিয়েছিলেন। লিখিত বক্তব্য রেখে পরে নয়নকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
শুধু নয়ন নয় তার মতো আরও অনেকে জুলাই ফাউন্ডেশনের সহায়তা পেতে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। যাদের কেউ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত, কেউ গাছ থেকে ফেলা ডাবের আঘাতে আহত, কেউ পড়ে গিয়ে আহত। কিন্তু দাবি করছেন, তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন।
প্রতারণার ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। কারো কারো কাছ থেকে দায় স্বীকারের লিখিত বক্তব্য রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ৫০টির মতো প্রতারণার ঘটনা পেয়েছেন।
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও জুলাইয়ে শহিদ মীর মাহফুজুর রহমানের (মুগ্ধ) ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “নিয়মিতই জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনা শনাক্ত হচ্ছে। যাচাই–বাছাই করে আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকা করা হলে প্রতারকদের পক্ষে আর প্রতারণা করা সম্ভব হবে না।”
তিনি বলেন, “ফাউন্ডেশনের জনবলের স্বল্পতা আছে। আবেদনকারীদের সবার তথ্য যাচাই করতে গিয়ে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
এম এইচ/