8 মার্চ টিএসসিতে একটি ইভেন্টে সালাহউদ্দিন আহমেদ ছবি: সংগৃহীত
“>
8 মার্চ টিএসসিতে একটি ইভেন্টে সালাহউদ্দিন আহমেদ ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকারকে এটিকে মোকাবেলায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
“জুলাই বিদ্রোহে নারীদের ভূমিকা জাতিসংঘ, বাংলাদেশের সমস্ত মিডিয়া, রাজনৈতিক দল, সামাজিক বাহিনী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি স্বীকৃতি দিয়েছে,” তিনি “ইন্ডোমিটেবল উইমেন, শক্তিতে অদম্য” শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেছিলেন।
শনিবার আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে টিএসসিতে জাতিয়াতাবাদী ছত্র ডাল (জেসিডি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং তদন্ত প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে এদেশের নারী ও শিশুদের আকাশ থেকে বন্দুকযুদ্ধের ফলে হত্যা করা হয়েছিল। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে যারা শহীদদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু ছিল,” তিনি বলেছিলেন।
এই মহিলারা সর্বদা আমাদের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের শীর্ষে ছিলেন, সালাহউদ্দিন বলেছিলেন, “মহিলারা বিপ্লবের ক্র্যাডল Dhaka াকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মহিলারা আমাদের অর্জিত বিজয় অবদানের জন্য সিংহের অংশ তৈরি করেছেন।”
সালাহউদ্দিন আরও বলেছিলেন, “একটি দল হিসাবে আমরা অনেক আগে 31-পয়েন্ট সংস্কার পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যেখানে আমরা সংবিধান, আইনীভাবে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এবং সংসদে নারীদের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ক্ষমতায়নের হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।”
“সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে আমরা তাদের সংসদীয় ক্ষমতায়ন বাড়ানোর জন্য সংসদে নারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। আইনী ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের অংশগ্রহণও বাড়বে।”
নারীদের অগ্রগতির উপর জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “মহিলারা দেশ ও বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ গঠন করে। আমরা যত বেশি তাদের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব, তত বেশি দেশ এবং বিশ্ব অগ্রসর হবে। এটি আমাদের কর্তব্য, এবং আমরা এখানে বৈষম্যকে স্বীকৃতি দেব না।”
বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে সালাহউদ্দিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে এই বিষয়গুলি রোধে সরকারকে দৃ firm ় পদক্ষেপ নিতে হবে; অন্যথায়, বাংলাদেশের চিত্রটি দেশীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে উভয়ই কলঙ্কিত হবে।
বিএনপি নেতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সমস্ত কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, “প্রতিটি ঘটনার পিছনে রহস্যগুলি উদ্ঘাটন করার জন্য পুরোপুরি তদন্ত পরিচালনা করুন এবং পতিত ফ্যাসিবাদের অবশিষ্টাংশগুলি কোনও ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত কিনা তা নির্ধারণ করুন। নিশ্চিত করুন যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল না হয়ে যায় এবং দেশটির খ্যাতি একটি দৃ firm ়তার সাথে আইন ও আদেশ বজায় রাখে তা নিশ্চিত করুন।”
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা সেলিমা রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সেক্রেটারি রাকিবাব ইসলাম বাকুল, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন Dhaka াকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলোল্লার প্রফেসর সায়মা হাকাউ বিডিশা।
