দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সেনা নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের যাবতীয় সুবিধা নিয়ে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন ক্রীড়াবিদরা।
৩ থেকে ৫ মে ভারতের ঝড়খন্ডের রাঁচিতে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। আসরের প্রস্তুতি পর্বে থাকছেন ১৪ ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক আসরে অংশগ্রহণ করতে হয় স্বল্প প্রস্তুতিতে। দক্ষিণ এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপেও প্রস্তুতির ঘাটতি থাকছে।
এ সম্পর্কে শুরু হতে যাওয়া ক্যাম্পের হার্ডলস ও ম্যারাথন কোচ ফরিদ খান চৌধুরী কালবেলাকে বলছিলেন, ‘আয়োজকরা কয়েকদিন আগে প্রতিযোগিতা আয়োজনের দিনক্ষণ জানিয়েছেন। এ কারণে তড়িঘড়ি করে প্রস্তুতি শুরু করতে হচ্ছে। হাতে যে সময় রয়েছে, দল প্রস্তুত করার জন্য তা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। তার পরও আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে।’
ফরিদ খান চৌধুরী ছাড়া ক্যাম্পে স্প্রিন্ট কোচ হিসেবে থাকছেন আব্দুল্লাহ হেল কাফি এবং জাম্প কোচ হিসেবে থাকবেন ফৌজিয়া হুদা জুঁই। সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করবেন কিতাব আলী।
ক্যাম্পে ১০০ মিটার স্প্রিন্টার হিসেবে থাকছেন মোহাম্মদ ইসমাইল, রাকিবুল ইসলাম ও জুবাইল ইসলাম। থাকছেন ৪০০ মিটার স্প্রিন্টার জহির রায়হান। হাই জাম্পার মাহফুজুর রহমান, ৪০০ মিটার হার্ডলার নাজিমুল হুসাইন রনি ও মাসুদ রানা। ১১০ মিটার হার্ডলার হিসেবে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তানভির ফয়সালকে। ম্যারাথন ইভেন্টের জন্য রাখা হয়েছে আল আমিনকে। নারী বিভাগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের জন্য ক্যাম্পে রাখা হয়েছে শিরিন আক্তার ও সুমাইয়া দেওয়ানকে। হাইজাম্পের জন্য রিতু আক্তার, লংজাম্পের জন্য সোনিয়া আক্তারকে রাখা হয়েছে। উল্লিখিতদের মনোনীত করা হয়েছে সর্বশেষ জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের নৈপুণ্যের ভিত্তিতে।
আসরে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে ফরিদ খান চৌধুরী বলছিলেন, ‘৪০০ মিটার হার্ডলস এবং ছেলে ও মেয়েদের হাইজাম্প ইভেন্টে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে চার গুণিতক ১০০ মিটার রিলে নিয়েও আশা করা যাচ্ছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।’
আসরে বাংলাদেশকে ঘিরে পদকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে বটে, সেটা ব্রোঞ্জ পদক! বাস্তবতার কারণে তার চেয়ে বড় প্রত্যাশা করছেন না খোদ দল-সংশ্লিষ্টরাও!