এফডিসির পাওনা আদায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮: ৪৬
বিএফডিসির নবনিযুক্ত এমডি মাসুমা রহমান তানি। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় আছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। বেতন না পেয়ে প্রায়ই আন্দোলন করতে দেখা যায় এফডিসির কর্মচারীদের। এফডিসিকে আবারও চাঙা করতে সম্প্রতি কমানো হয়েছে শুটিং ফ্লোর ও যন্ত্রপাতির ভাড়া। এবার নজর দেওয়া হচ্ছে এফডিসির পাওনা টাকা আদায়ে। গতকাল নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাওনা অর্থ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মাসুমা রহমান তানি বলেন, ‘অনেকের কাছে এফডিসি টাকা পায়। এমন অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের টাকার শেষ নেই। অথচ এফডিসি থেকে বিশাল অর্থের কাজ বাকিতে করিয়েছেন। টাকা ফেরত দেওয়ার নাম নেই। জানতে পেরেছি, তাদের বারবার চিঠি পাঠানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কোটি কোটি টাকা তাদের কাছে পাওনা, অথচ এখানকার মানুষজন বেতন পায় না। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। যেহেতু এখানে নতুন এসেছি, আমি চাইব তারাও আমাকে সহায়তা করুক। প্রত্যেককে বলেছি, শুধু চিঠি চালাচালি না করে নিজ থেকে এফডিসির হয়ে যোগাযোগ করতে। প্রথমে তাদের কাছে বিনয়ের সঙ্গেই পাওনা চাওয়া হবে। না হলে আইনি পথেই হাঁটতে হবে।’
২৩ ফেব্রুয়ারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন মাসুমা রহমান তানি। সে দিনই তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়ে এফডিসির মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যহীন চলচ্চিত্র স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। তবে এসব নিয়ে না ভেবে এফডিসি নিয়েই ভাবছেন তানি। তিনি বলেন, ‘শুধু কাজ বা দায়িত্ব নয়, এফডিসি আমার ভালোবাসার জায়গা। দায়িত্বের সঙ্গে যখন প্যাশন মিলে যায়, তখন সেই কাজটি ভিন্ন মাত্রা পায়। আমার আগে যাঁরা কাজ করতে এসেছেন এখানে, তাঁদের ওপর সেই সময়ের সরকারের নানা রকম প্রেশার থাকত। কিন্তু এই সরকার দেশের সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। এই সুযোগে এফডিসির সংস্কার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তানি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়ে গেছে। ফ্লোরগুলোর ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শুটিংয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া এখানে শুটিং করতে নির্মাতা ভয় পেত। নানা রকম নিয়মের বেড়াজাল থাকত। সেই বিষয়গুলো সমাধান করা হচ্ছে। আরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে।’