Homeজাতীয়নিয়োগের পথ খুলল প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের

নিয়োগের পথ খুলল প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। তবে রায়ের পর যারা হাইকোর্টে হামলা করেছে, তাঁদের চিহ্নিত করে বাদ দিতে বলেছেন আদালত।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘৩২ হাজার শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। তাঁরা যোগদান করুক।’

রিটকারীদের আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এরা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন। এ সময় আদালত বলেন, তারা তো পরীক্ষা দিয়েছে অনেক আগে। ৩২ হাজার ফাঁকা রয়েছে। তাদের নিয়োগ দেওয়া যায়। তবে যারা হাইকোর্টের রায়ের পর হামলা করেছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা হাইকোর্টের রায়ের পর হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করেন। তাদের বিচার হওয়া উচিত।’ এ সময় শিক্ষকদের পক্ষে থাকা আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এরই মধ্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন। তবে রায়ের পরই শিক্ষকদের একটি অংশ হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এজলাস ছেড়ে যান। শিক্ষকেরা রায়ের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া পরবর্তীতে শাহবাগ ও প্রেসক্লাব এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেন তাঁরা।

এদিকে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আজ সোমবার লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন—আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন ও আইনজীবী কামরুজ্জামন ভূঁইয়া। শিক্ষকদের পক্ষে ছিলেন—ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রুহুল কুদুদস কাজল কাজল ও সিদ্দিক উল্লাহ ভূঁইয়া।

রায়ের পর শাহবাগে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষকেরা। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
রায়ের পর শাহবাগে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষকেরা। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

২০২৩ সালের ১৪ জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। আর ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যাতে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। পরে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী রিট করেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত