অফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে সহজে।
পরিবারে একাধিক সদস্য থাকলে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে দিন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জামাকাপড় ভাঁজ করে আলমারিতে তুলতে। এতেই ঘর অনেকটা হালকা হবে। এরপর ওয়ার্ম ল্যাম্পশেডটি জ্বালিয়ে দিন। ল্যাম্পের নরম আলোয় ঘর ভরে উঠবে। চোখের আরামও পাওয়া যাবে।
ঘরের জানালাগুলো কিছুক্ষণের জন্য খুলে দিন। তাতে ঘর থেকে গুমোট ভাবটা কেটে যাবে। বসার ঘরের ডিভান, সোফা ও কুশন ঠিকঠাক করুন। তবে ঘর গোছাতে শুরু করার আগেই রুমে ফ্রেশনার ছড়িয়ে দিন। এতে ঘরময় সুবাস ভেসে বেড়াবে। আসবে ফুরফুরে ভাব।
শেষবেলার অতিথি বলে কথা! বেশি গুরুত্ব দিন খাবারের টেবিলকে। টেবিলক্লথ থাকলে তা বদলে দিন। কাচের টেবিল হলে ভালোভাবে মুছে নিন। এবার যেসব পাত্রে খাবার পরিবেশন করবেন, সেগুলো বের করুন। তবে এ ক্ষেত্রে ঝটপট রাতের খাবার সেরে নেওয়া যাবে এমন দু-তিনটি রেসিপি বেছে নিন। অথবা খাবারের অর্ডার করতে পারেন।
খাবারঘরের বেসিন এবং কমন বাথরুম পরিষ্কার করে মূল দরজার কার্পেট বদলে দিলেই আপনার কাজ সারা।
তবে অতিথিদের যদি শোয়ার ঘরেও যাওয়ার ব্যাপার থাকে, তাহলে আগেই বিছানার চাদর ও বালিশের কভার বদলে নিতে হবে।
সূত্র: অ্যাপার্টমেন্ট থেরাপি, লিভ স্পেস ও অন্যান্য