সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। যার পশুদের প্রতি রয়েছে পরম শ্রদ্ধা ও রাস্তার কুকুর, বিড়ালের প্রতি রয়েছে তার ভীষণ ভালোবাসা। কিছুদিন আগেও সেন্টমার্টিনের কুকুর (পর্যটক না যাওয়ার কারণে) কী খাবে তার একটি প্রচারণা চালিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আবার নিলয় নিজ উদ্যোগেও কুকুর-বিড়ালের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন। এর আগে পশু নিয়ে নাটকও করেছিলেন এই অভিনেতা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি বন্যপ্রাণী হাতিকে নিয়ে একটি নাটকে অভিনয় করলেন। নাটকের নাম ‘নিহারকলি’। নাটকটি রচনা করেছেন সেজান নূর। নাটকটি নির্মাণ করেছেন ফজলুল হক।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে নিলয় আলমগীর বলেন, ‘হাতি নিয়ে কাজ করার আমার অনেকদিনের স্বপ্ন। তবে হাতি নিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। কারণ হাতিকে মেইনটেইন করা, আমাদের আবেগের সঙ্গে তার আবেগ রিলেট করে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। কিছুদিন আগে একটি হাতি নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় হাতিটিকে রক্ষা করে এবং নিরাপদে নিয়ে তাকে যত্নে রাখে। সেই আদলেরই একটি গল্প নিয়ে নিহারকলি নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এতে আমি মাহুত চরিত্রে অভিনয় করেছি। মাহুত তাকেই বলা হয় যিনি একজন হস্তী চালক বা প্রশিক্ষক বা রক্ষক। তো এই হাতির বয়স যখন কম, তখন তাকে দিয়ে নানানভাবে অর্থ আয় করে একটি পরিবার চলে এবং তারও খাবারের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু যখন সেই হাতিটির বয়স হয়ে যায়, তখন তাকে দিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ কমে যায়। পরিবারটি অর্থের প্রবল সংকটে পরে, হাতিটিরও খাবারের জোগান কমে যায়। ফলে পরিবারটি নানান বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। যে কারণে বয়স্ক হাতিটি একসময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মূলত আমরা হাতির কষ্টটাকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। যেহেতু এটা আমাদের ড্রিম প্রজেক্ট ছিল, তাই অনেক কষ্ট হলেও নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আমরা কাজটি করেছি। আমার প্রবল বিশ্বাস নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে।’
এর আগে ফজলুল হকের নির্দেশনায় নিলয় ‘ছেলেটি সত্যি এসেছিলো’, ‘তোমাকে চায়’, ‘এক টিকিটে দুটি ছবি’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নাটকে নিলয় আলমগীরের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন বাবা চরিত্রে লুৎফর রহমান জর্জ ও স্ত্রীর চরিত্রে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এরই মধ্যে রাজধানীর পূবাইলে একটি শুটিং হাউস ও তার আশপাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারণের কাজ শেষ হয়েছে।