জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস—এই নীতিকে উল্টে দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতেই ভোটগ্রহণের অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে বরিশাল-১ আসনের ফলাফল ছিল চাঞ্চল্যকর।
শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ নৌকা প্রতীকে ২,৫৫০২ ভোট পান, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জহির উদ্দিন স্বপন পান ১,০৩,৩০৫ ভোট। এ অসম্ভব ব্যবধান সৃষ্টি করতে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা ছিল বলেই অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে বরিশালের তৎকালীন জেলা প্রশাসক অজিউর রহমান ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে পুরস্কৃত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু অজিউর রহমানই নন, আরও বহু প্রশাসনিক কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের শাসনামলে পদোন্নতি পেয়েছেন। তবে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকজনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। প্রশাসনের এই কর্মকর্তাদের ভূমিকা ও স্বচ্ছতা নিয়ে এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ছিলেন মোহাম্মদ হামিদুল হক। তিনি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। বর্তমানে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা অনুবিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে দায়িত্বে আছেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ছিলেন মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। সর্বশেষ, তাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি তাকেও ওএসডি করা হয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক ছিলেন আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। সর্বশেষ, তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ছিলেন। ভোলার জেলা প্রশাসক ছিলেন মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব ছিলেন। সম্প্রতি তাকেও ওএসডি করা হয়েছে।