ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বরখাস্ত বা গ্রেপ্তার না করার পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলেও একই ধরনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মনিরুল মওলা দিব্যি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম, আহ্বায়ক বি এম আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মনির হোসেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক বি এম আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকাসহ ব্যাংক খাত থেকে পাচার হওয়া ২৮ লাখ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাংকের অনিয়মে জড়িত এমডি মনিরুল মওলাকে দ্রুত অপসারণ ও গ্রেপ্তার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, ‘আমরা দেখেছি, ইসলামী ব্যাংকের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা জানতে পেরেছি, এস আলম গ্রুপ ব্যাংক খাতে আধিপত্য বজায় রাখতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মনিরুল মওলা এস আলমের অন্যতম সহযোগী। তিনি ব্যাংকটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তাঁকে এমডি পদ থেকে অপসারণ করা হচ্ছে না। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক ও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কেউ কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।’