Homeদেশের গণমাধ্যমে‘খেলার মাঠে মেলা নয়, ১২ মাস খেলা চাই’

‘খেলার মাঠে মেলা নয়, ১২ মাস খেলা চাই’


চট্টগ্রাম শহরের সব খেলার মাঠে মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নগরের বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতারা। এ সময় তারা ‘খেলার মাঠে মেলা নয়, ১২ মাস খেলা চাই’ ব্যানারে মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে তারা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর পলোগ্রাউন্ড খেলার মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রামের অন্তত ১৫টি ক্লাব ও সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

পলোগ্রাউন্ড এক্সপ্রেস ক্রিকেট দলের সভাপতি আতিক রেজা নিলয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এ প্লাস ফুটবল একাডেমির কোচ শামসুদ্দিন চৌধুরী, এবি ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ আবু বক্কর, সামাজিক সংগঠন বন্ধু মহলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।

এদিকে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা লেখেন, চট্টগ্রামের কদমতলী, দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, মাদারবাড়ী, মতিয়ার পোল, চৌমুহনী, এনায়েত বাজার, লালখান বাজার টাইগারপাসসহ এ অঞ্চলে খেলার মাঠ বলতে একমাত্র পলোগ্রাউন্ড মাঠকে বুঝায়। এ মাঠকে কেন্দ্র করেই আমাদের বিনোদনের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম ক্রীড়ানুশীলন করে থাকি।

এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী এ পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুশীলন করে আকরাম খান, তামিম ইকবাল, নাজিমুদ্দিনের মতো দেশ সেরা ক্রিকেটারসহ মামুনুলের মতো দেশ মাতানো ফুটবলার তৈরি হতো। যাদের কল্যাণে বাংলাদেশের জাতীয় দলে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব থাকতো অনস্বীকার্যরূপে। একইসঙ্গে থাকতো বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্রীড়াবিদরা। একসময় রেলওয়ের ক্রীড়াবিদরাও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে উজ্জ্বলতা ছড়াতো।

এ মাঠ ছাড়া এ অঞ্চলের খেলার মাঠ নেই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই মাঠকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মাহফিল, সমাবেশ ও মেলার মত বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খেলাধুলা সম্পূর্ণরূপে বিঘ্ন ঘটছে। বিগত ১০-১৫ বছর আর এ মাঠ থেকে জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার মতো কোনো খেলোয়াড় সৃষ্টি করতে পারছি না। এমনকি আমাদের যুব সমাজকে মাদকের মতো মৃত্যু থাবা থেকে দূরে সরিয়ে খেলাধুলার আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না।

এ সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গণ তথা চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পলোগ্রাউন্ড মাঠে বাণিজ্যিক মেলা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই। যে কয়েকটা মাঠ আছে, সেগুলোতে ১২ মাসে ১৩ মেলা হয়। শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করতে না পেরে বিপথে চলে যায়। তারা যোগ দেয় কিশোর গ্যাংয়ে। তারা আরও বলেন, একসময় জাতীয় দলে চট্টগ্রামের খেলোয়াড়রা রাজত্ব করতেন। কিন্তু বর্তমানে খেলার মাঠ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম থেকে আর তেমন খেলোয়াড় উঠে আসছে না। তাই খেলার মাঠে মেলার আয়োজন বন্ধ করতে হবে। খেলার মাঠে মেলা নয়, বারো মাস খেলা চাই।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি দেখব।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত