প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রটেস্ট করার অধিকার সব রাজনৈতিক দলের আছে। ওনারা (জামায়াত) প্রটেস্ট করছেন, আমরা চাই যে এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হোক। এটার কারণে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়। সেটা আমরা চাই।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘জামায়াত নেতার বিচারিক কার্যক্রম আদালতের এখতিয়ার, আদালত এটা সিদ্ধান্ত নেবে। যা হবে এটা তারাই দেখবেন।’
বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট সিরিয়াস। ছাত্রদের মধ্যে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও ধরনের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়, আমরা অবশ্যই এটা দেখবো। আইনশৃঙ্খলার কোনও ধরনের অবনতি হোক, এটা আমরা চাই না। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টা পদত্যাগ করেননি। আর বাকিটা ওনার বিষয়, আমরা এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না। আর রদবদল হবে কী হবে না— এটা প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এখনও এই বিষয়ে কিছু জানি না, কোনও ধরনেরসিদ্ধান্ত আছে কিনা।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি কম সংস্কার চায়— তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু যদি তারা চান যে, সরকার আরও কিছু সময় থাকুক, তাহলে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন— আগামী বছরের প্রথমার্ধ্বে। এখানে একটা প্র্যাক্টিকাল ইস্যু হচ্ছে যে, এপ্রিলে কালবৈশাখী এবং ঝড়বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়ে যায়। এপ্রিলের পরে জুনে আবার বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই ৩ মাস নির্বাচনের জন্য অতটা উপযোগী না। সেজন্য আমাদের ধারণা— নির্বাচন হয় ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নতুবা বড়জোর মার্চের মধ্যে হবে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘এটা সিদ্ধান্ত নেবে কেবিনেট। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও আলাপ হয়নি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।’