প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের বৈঠক করার পর রাতে পূর্বনির্ধারিত আগামীকাল মঙ্গলবারের (২৫ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি স্থগিত করেছে জামায়াত। এদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছিলো জামায়াত।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের যুক্ত থাকার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার অফিসের সামনে কর্মসূচি ডেকেছিল জামায়াত। একইদিন দলটির আমির স্বেচ্ছা গ্রেফতার হওয়ার কথা জানিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে জাতীয় ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে ডা. শফিকুর রহমানের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমীরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
পরে পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
‘জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমির ডা. শফিকুর রহমান তার স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হওয়ার কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, জামায়াত আমিরের সম্প্রতি স্বেচ্ছায় গ্রেফতারের অবস্থান সামনে আসার পর বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোতে উদ্বেগ ছড়ায়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্যে দেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল না করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।