পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলা ডেরা ইসমাইল খানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের জিও টিভির।
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ এলাকা দারাবনে খোয়ারিজের উপস্থিতির তথ্য পেয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এই অভিযানে চারজন খোয়ারিজ নিহত হন।”
এছাড়া “সাধারণ এলাকা মাদ্দিকে আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। নিজস্ব সৈন্যরা কার্যকরভাবে তিনজন খোয়ারিজকে হত্যা করেছে।”
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “খোয়ারিজের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা ওই এলাকায় অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।”
আইএসপিআর অনুসারে, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর’ বলে এলাকায় অন্য কোনো সন্ত্রাসী পাওয়া গেলে তাকে নির্মূল করার জন্য স্যানিটাইজেশন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ডেরা ইসমাইল খানে সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তিনি সাতজন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “মানবতার এই শত্রুদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা চূর্ণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।”