সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক বৈশ্বিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলের এক মন্ত্রীর বক্তব্য বয়কটকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানায়।
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় মারাকেশ শহরে গত মঙ্গলবার সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে চতুর্থ বৈশ্বিক সম্মেলনে ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রাগেভ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তাঁর বক্তব্য বয়কট করেন। সামাজিক মাধ্যমে মিডল ইস্ট আই প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপের সূত্রে বাংলাদেশ প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ইসরায়েলবিরোধী বয়কটে যোগ দেননি এমন অভিযোগ তোলা হয়। ভিডিও ক্লিপে আদিলুর রহমান খানকে সম্মেলনকক্ষে তাঁর ডান দিকে ও পেছন ফিরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গতিবিধি লক্ষ করতে দেখা যায়। তাঁর সামনে টেবিলে বাংলাদেশের পতাকা ছিল।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রকাশ্য অবস্থানের উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইসরায়েল প্রতিনিধির বক্তব্য বয়কটকারীদের মধ্যে ছিলেন।
দ্য নিউ অ্যারাব অনলাইনে বলা হয়, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের মন্ত্রীর বক্তব্য বয়কট করেন। অন্যদিকে, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের প্রতিনিধিরা তখন সম্মেলনকক্ষে অবস্থান করছিলেন।
সম্মেলনস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে তখন ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রীকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ফিলিস্তিন সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছিলেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চালানো ইসরায়েলের সর্বব্যাপী হামলায় নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক লাখ মানুষ। ধ্বংস হয় কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।