বাংলাদেশের ব্যাটার জাকের আলী বিশ্বাস করেন, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে দল আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারবে। আসন্ন নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচগুলোতে দলের ব্যাটিং শক্তি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেটে পরাজিত হয়, যেখানে মাত্র ২২৮ রান সংগ্রহ করেছিল দল। যদিও ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জাকের আলী (৬৮) ও তাওহীদ হৃদয় (১০২) মিলে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে টেনে তুলেছিলেন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাকের আলী বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো দেখাচ্ছে, পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও সেটাই দেখা গেছে। তাই আমরা আশা করছি, সেখানে বড় স্কোর করতে পারব এবং ভালো ফল আনতে পারব।’
বাংলাদেশের সামনে এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে বলেও মনে করেন তিনি।
‘আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমাদের টুর্নামেন্টে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৩৫/৫ অবস্থায় থেকেও দল যেভাবে লড়াই করেছে, তা প্রমাণ করে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। তবে প্রতিটি বিভাগেই আমাদের সেরাটা দিতে হবে,’ যোগ করেন জাকের।
জাকের আলী স্বীকার করেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা ছিল কঠিন, তবে তিনি ও হৃদয় লম্বা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন।
‘শুরুর দিকে উইকেট হারিয়ে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমরা মধ্য পর্যায়ে ভালো ব্যাট করেছি, কিন্তু শেষটা ঠিকমতো হয়নি। যদি আরও ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচ আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো,’ বলেন তিনি।
ব্যক্তিগত ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে যাই। আমার লক্ষ্য ছিল ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করা এবং ইনিংস দীর্ঘ করা।’
জাকের আলী স্বীকার করেছেন যে ভারতের স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের হ্যাটট্রিক বল থেকে বেঁচে যাওয়াটা ভাগ্যের বিষয় ছিল। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্লিপে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন, যার ফলে জাকের সুযোগ পান ইনিংস বড় করার।
‘প্রথম বল খেলা সবসময় কঠিন, বিশেষ করে সেটি যখন হ্যাটট্রিক বল। বলটি ব্যাটের কানায় লেগেছিল, আমি শুধু পেছনে তাকিয়ে দেখলাম ক্যাচটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই আমি বল ধরে ধরে খেলার পরিকল্পনা করি,’ বলেন জাকের।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
দলের ব্যাটিং লাইনআপ পাকিস্তানের কন্ডিশনে কেমন পারফর্ম করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে জাকের আলী মনে করেন, ব্যাটাররা নিজেদের পরিকল্পনা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব!