হামাস ঘোষণা করেছে যে এলিয়া কোহেন, ওমের শেম-টোভ, ওমের ওয়েনকার্ট, তাল শোয়াম, আভেরা মেঙ্গিস্তু এবং হিশাম আল-সাইয়েদ নামে ছয়জন ইসরায়েলি বন্দিকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
এর বিপরীতে, ইসরায়েল ৬০২ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে ৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মিডিয়া অফিস । আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় এই বন্দি বিনিময় আলোচনা চলছে, যা গাজায় চলমান সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টার অংশ।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার হামাসের হস্তান্তর করা একটি মরদেহকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করেছে যে এটি ইসরায়েলি বন্দি শিরি বিবাসের মরদেহ নয়, বরং এটি “অজ্ঞাত”। ইসরায়েলি সরকার হামাসের কাছে সঠিক মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
হামাস বলেছে যে ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অন্যান্য মরদেহের সঙ্গে এটি মিশে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৮,৩১৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১১,৭৪৯ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষ নিখোঁজ ও মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মোট মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০৯-এ পৌঁছেছে।
এই যুদ্ধ শুরু হয় ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ, যখন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি বন্দি হন। এরপর থেকে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের আলোচনা চলেছে, তবে সংঘর্ষ ও বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এই নতুন বন্দি বিনিময় আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এখনও প্রবল।