বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে উচ্চ পর্যায়ের সফর এবং বিনিময় দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় নতুন করে প্রেরণা যোগাবে বলে মনে করে ঢাকা ও বেইজিং।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী সান উইডংয়ের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয়। চীনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে বেইজিং সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বাংলাদেশ ও চীন ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য আগের চেয়ে আরও কাছাকাছি কাজ করবে, যাতে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে বিনিময়ের সঙ্গে দৃশ্যমানভাবে চিহ্নিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম ও ওয়েইডংয়ের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদার করা এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। উভয় পক্ষই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক অ-আগ্রাসন, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পারস্পরিক অ-হস্তক্ষেপ, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মো. নাজমুল ইসলাম চীনা বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের বিনিময়ে বাংলাদেশের দেওয়া সুযোগগুলি খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ জানান এবং ঢাকায় ০৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নিতে তাদের উৎসাহিত করেন।
সান উইডং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং পর্যটন, শিক্ষা, একাডেমিয়া ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং স্থানীয় সরকার খাতে আরও বেশি পরিদর্শন এবং প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য উভয় দেশ যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যেমন- লোগো প্রকাশ, গত ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের স্বীকৃতি, চিকিৎসা পর্যটন চালু করা। চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আরও একটি হাসপাতাল অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়াধীন।