Homeখেলাধুলাদুবাইয়ে ভারতের স্পিন-পরীক্ষার মুখোমুখি বাংলাদেশ

দুবাইয়ে ভারতের স্পিন-পরীক্ষার মুখোমুখি বাংলাদেশ


দীর্ঘ বিরতির পর দুবাইয়ে আবারও ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের পর এই ভেন্যুতে প্রথমবারের মতো ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। যদিও এই মাঠে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চে, তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে দু’দলই নিজেদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে চায়।

মাঝের ওভারগুলোর গুরুত্ব

ওয়ানডে ম্যাচের মাঝের ওভারগুলো অনেক সময়ই গুরুত্বহীন মনে হতে পারে, কিন্তু আসল খেলাটা জমে এখানেই। ভারতের বর্তমান দলটি সেই ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দুবাই এসেছে। সম্প্রতি সিরিজগুলোতে দেখা গেছে, তাদের ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে সক্ষম, আবার বোলাররা ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিতে পারছে। এর পেছনে রয়েছে একটি সুপরিকল্পিত কৌশল—দলটিকে সেরা খেলোয়াড় ছাড়াই জিততে শেখানো। যেমন, চোটের কারণে নেই জাসপ্রীত বুমরাহ, তবে দল তার অভাব যেন না টের পায় সেজন্য প্রস্তুত পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে তারা।

অন্যদিকে, স্পিন-বিষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের চেয়ে ভালো লড়াই করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিপিএলের ব্যাটিং-উৎসবের কারণে বাংলাদেশের ব্যাটাররা স্পিন খেলার অনুশীলন পেয়েছে। তবে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ। শেষ ওয়ানডে সিরিজে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে। একইসঙ্গে, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ রানের বেশি রান খরচের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।

ফর্মের পর্যালোচনা

ভারত: জয়-জয়-জয়-পরাজয়-পরাজয় (শেষ পাঁচ ম্যাচ)

বাংলাদেশ: পরাজয়-পরাজয়-পরাজয়-পরাজয়-জয়

দুই তারকার লড়াই: শ্রেয়াস আইয়ার বনাম নাহিদ রানা

ভারতের মিডল-অর্ডারের অন্যতম ভরসা শ্রেয়াস আইয়ার। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৫ কিমি গতির শর্ট বলে ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি নিজের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে শর্ট বল তার দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত ছিল, কিন্তু তিনি সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। এবার দুবাইয়ে তার সেই নতুন আত্মবিশ্বাসের পরীক্ষা হবে।

বাংলাদেশের জন্য মূল অস্ত্র হতে পারেন নাহিদ রানা। গত কয়েক মাসে তিনি নিজের গতি দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন, বিশেষ করে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডির মন্থর উইকেটেও ভয়ঙ্কর বোলিং করে নজর কেড়েছেন। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৪৯ কিমি গতির এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এভিন লুইসকে বোল্ড করে তিনি নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন। এবার দুবাইয়ে নতুন মিশনে নামছেন তিনি।

প্রত্যাশিত একাদশ

ভারত (সম্ভাব্য একাদশ):

১. রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ২. শুভমান গিল, ৩. বিরাট কোহলি, ৪. শ্রেয়াস আইয়ার, ৫. কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), ৬. হার্দিক পান্ডিয়া, ৭. রবীন্দ্র জাদেজা, ৮. অক্ষর প্যাটেল, ৯. কুলদীপ যাদব, ১০. মোহাম্মদ শামি, ১১. অর্জদীপ সিং।

বাংলাদেশ (সম্ভাব্য একাদশ):

১. তানজিদ হাসান, ২. সৌম্য সরকার, ৩. নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), ৪. তৌহিদ হৃদয়, ৫. মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), ৬. মাহমুদউল্লাহ, ৭. মেহেদি হাসান মিরাজ, ৮. রিশাদ হোসেন, ৯. তাসকিন আহমেদ, ১০. নাহিদ রানা, ১১. মুস্তাফিজুর রহমান।

পিচ ও পরিবেশ

দুবাইয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল ২০২৪ সালে, যেখানে বড় স্কোর তুলতে পারেনি কোনো দল। ৫৮টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র ৪ বার ৩০০-র বেশি রান উঠেছে। অর্থাৎ, এই ম্যাচেও ব্যাটারদের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। উইকেট কিছুটা শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা স্পিনারদের জন্য সহায়ক হতে পারে।

দুবাইয়ের শুষ্ক উইকেটে ভারতের স্পিন-নির্ভর বোলিং কৌশলের বিপরীতে বাংলাদেশের পেস-বোলারদের পরীক্ষা দিতে হবে। নতুন নেতৃত্বে ও নতুন আক্রমণভাগ নিয়ে বাংলাদেশ কি পারবে চমক দেখাতে? অপেক্ষা এখন মাঠের লড়াইয়ের।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত