আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকা না থাকার বিষয়ে ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’ বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের এই অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এই বিষয়টা বারবার করে বলে আসছি যে, আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি…। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের সমস্ত নর্মস অ্যান্ড কন্ডিশন যেগুলো আছে সেগুলোর ওপর আমরা আস্থা রাখি এবং সেটা আমরা চর্চা করি… অতীতেও চর্চা করেছি।’
ফখরুলের ভাষ্য, ‘সেইভাবেই আমরা মনে করি যে, আমরা এই কথা বলে আসছি যে, ইট ইজ নট আস টু উইল ডিসাইড… যে, কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না…। পিপলস উইল ডিসাইড… মানুষ বা জনগন নির্ধারণ করবে কোন পার্টি থাকবে কি থাকবে না, কোন পার্টি নির্বাচন করবে কি করবে না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে আপনারা কিনা প্রশ্ন করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটাতো আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, জনগণ উইল ডিসাইডেড। আমরা পক্ষ বিপক্ষ থাকা ইমমেটেরিয়াল… পিপলস উইল ডিসাইড।’
‘সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিপক্ষে বিএনপি’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা (সংখ্যানুপাতিক ভোট) আমরা পুরোপুরি বিরোধী, একেবারে জোরালোভাবে বিরোধী। আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করবো না। কারণ এখানকার মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। এরকম (ভোটের) প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
‘আর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান… এটাতেও আমরা একেবারেই একমত নই। এটা তো সমস্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছু না। যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশ মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’
জাতীয় নির্বাচন কেন এখন জরুরি তার ব্যাখ্যাও দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হওয়ার প্রধানত দুটি কারণ। একটি হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আরেকটা হলো গুড গর্ভনেন্স (সুশাসন) চালু করা। এখন তো গর্ভনেন্সের খুব প্রবলেম হচ্ছে…। গর্ভনেন্স চালু করলেই তখন দেখবেন অর্থনীতি বেটার হয়ে আসছে, সমাজ এবং রাষ্ট্রে। ইউনিভার্সিটি-কলেজগুলোতে লেখাপড়াই হচ্ছে না। সেই ব্যবস্থাটা ঠিক হবে। একটা নির্বাচিত সরকার না হলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন তো। এখন তো একটা পুরো টাইল সিচুয়েশন চলছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারি কী হবে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে উনাদের আমাদের সঙ্গে আলোচনায় যেটা বলেছেন, সেটা তো আমি আপনাদের আগেই বলেছি যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা (সরকার) নির্বাচনটা করার চেষ্টা করছেন।’