শুল্ক ও অভিবাসন ইস্যুতে বিতর্কের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গেছে, এই সফরে মার্কিন ধনকুবের ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
গত মাসে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এটি হবে মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
মোদী রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অতিথি ভবন ব্লেয়ার হাউজে থাকবেন।
এই সফরে মোদীর মূল অগ্রাধিকার হলো ভারতের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের যেকোনো শাস্তিমূলক বাণিজ্য পদক্ষেপ আগে থেকেই ঠেকিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ উচ্চ শুল্ক এড়ানো ও বাণিজ্যের পরিধি সম্প্রসারণ করা।
ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরপরই মোদী যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন। এই পদক্ষেপ ভারতীয় সংস্থাগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলোও সম্ভবত তাদের আলোচ্যসূচিতে থাকবে।
এই দুই নেতা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতি, ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়ন নিয়েও কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর পর মোদী হলেন চতুর্থ বিদেশি কোনো নেতা যার সঙ্গে ট্রাম্প সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন।
মোদী ওয়াশিংটনে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং ভারত-মার্কিন বন্ধুত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে তার সফরের সময় বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মোদীর। অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তার।
এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর যুক্তরাষ্ট্রে দশম সফর। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল ২০১৪ সালে। তখন বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম