ইসরায়েল আর হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননের পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে ছয়জন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে। লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেকা উপত্যকার জেন্নাতা শহরের কাছে শায়ারা এলাকায় একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল ‘হিজবুল্লাহর সদস্যদের একটি স্থাপনা, যেখানে কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছিল।’
সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, ‘এই স্থাপনার কার্যক্রম ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে হওয়া সমঝোতার সরাসরি লঙ্ঘন।’
এখানে গত ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত বন্ধ করতে সহায়ক হয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তারা হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের বাস্তবায়নকাল ২৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরায়েল দাবি করেছে যে, লেবানন চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানেনি, তাই তারা দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রেখেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীর পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এর মধ্যে ইসরায়েল পূর্ব বেকা উপত্যকায় একাধিক হামলা চালিয়েছে, যা সাধারণত হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ৩১ জানুয়ারি, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সিরিয়া সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে দুইজনকে হত্যা করে।
হিজবুল্লাহর কর্মকর্তা ইব্রাহিম মুসাবি এসব বিমান হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক লঙ্ঘন এবং একটি সুস্পষ্ট আগ্রাসন। তিনি লেবাননের সরকারকে ইসরায়েলের এসব আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানান।