আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয় আছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘আমার দুটি মন্ত্রণালয় আইন এবং প্রবাসী কল্যাণ। সেখানে যারা মন্ত্রী ছিলেন তারা মন্ত্রণালয়ের উপার্জিত অর্থ যেগুলো হাজার কোটি টাকার মতো, সেগুলো বেসরকারী ব্যাংকে আমানত হিসেবে রেখেছেন। এখন সেগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ওইসব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তারা বা তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা দলের সদস্যরা জড়িত। ব্যাংকগুলোর নাম হলো– পদ্মা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা জমা রেখেছে। এখন সেগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমার জান বের হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের টাকা, সরকারি ব্যাংকের টাকা আপনি মধুমতি বা পদ্মা ব্যাংকে রাখছেন কেন; যেটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত। এ ধরনের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট যে আছে, এ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধান আছে, সেগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং প্রয়োজনে আইন সংস্কারের কথা দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সুপারিশে। আপনারা জানেন, আমাদের রাজনৈতিক অর্থায়ন সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়। সেটাকে স্বচ্ছ করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সুপারিশে। এছাড়া বেসরকারি খাতে ঘুষ লেনদেনকে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।’