২০২৩ সালের শেষ দিকে ‘যন্ত্রণা’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সায়মা স্মৃতির। এরপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাঁকে। সায়মা জানালেন নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলেও ইতিমধ্যে শেষ করেছেন চার সিনেমার কাজ। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাঁর অভিনীত অপূর্ব রানার ‘জলরঙ’, আবু সাঈদের ‘সংযোগ’, এইচ আর হাবিবের ‘জলকিরণ’ ও ফরহাদ চৌধুরীর ‘নাদান’।
সায়মা স্মৃতি বলেন, ‘গত বছর নতুন সিনেমা মুক্তি না পেলেও সিনেমার কাজেই ব্যস্ত ছিলাম। সংযোগ ও জলকিরন সিনেমার সম্পূর্ণ শুটিং শেষ। কয়েক দিন প্যাচওয়ার্ক করলেই শেষ হবে নাদানের কাজ। আরও আগেই শেষ হয়েছে জলরঙের কাজ। চারটি সিনেমারই গল্প খুব সুন্দর। আমাকেও প্রতিটি সিনেমায় ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমাগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে।’
বান্দরবানের থানচিতে নাদানের শুটিং করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিল নাদান সিনেমার টিম। সে সময় স্থানীয় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দিনদুপুরে ডাকাতি শেষে গুলি ছুড়তে ছুড়তে থানচি ছাড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী। শুটিং চলাকালে গোলাগুলির শব্দ পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সিনেমার ইউনিটের সদস্যরা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় হোটেলে ফেরেন সবাই। সেই অভিজ্ঞতা জানিয়ে সায়মা স্মৃতি বলেন, ‘কী যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। মনে হচ্ছিল, চোখের সামনে মৃত্যু দেখতে পাচ্ছি! প্রতিটি সেকেন্ড বুক ধড়ফড় করছিল আমার। পুরো শহরে রেড অ্যালার্ট। পরে বিজিবির সহায়তায় আমরা সেখান থেকে বান্দরবান শহরে আসি।’ নাদান সিনেমায় সায়মা স্মৃতির সঙ্গে আরও আছেন শ্যামল মাওলা, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
সরকারি অনুদানে নির্মিত জলরঙ সিনেমায় সায়মার সহশিল্পী সাইমন সাদিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, উষ্ণ হক, ফারজানা সুমি, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। জলকিরণে আছেন আরমান পারভেজ মুরাদ, সুমিত সেনগুপ্ত, কাজী নওশাবা। আর সংযোগ সিনেমায় সায়মার সঙ্গী হয়েছেন আব্দুর নূর সজল।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন সায়মা স্মৃতি। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমবিএ করার। চ্যালেঞ্জ থাকলেও পড়ালেখা ও অভিনয় একসঙ্গে চালিয়ে যেতে চান নতুন এই নায়িকা।