একটি সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় উঠে এসেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ফোনকল ও অন্যান্য বক্তব্য নিয়ে অনলাইনে ৯৪.৮% নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৫.২% প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক। এই গবেষণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতি জনমত কতটা নেতিবাচক তা পরিস্কারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
স্ট্রাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরাম (SPF) পরিচালিত এই গবেষণায় প্রধান আলো, কালবেলা নিউজ, এটিএন নিউজসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ও বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ (NLP) প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশিত মন্তব্যগুলো সংগ্রহ করে সেগুলির সেন্টিমেন্ট (মনোভাব) নিরূপণ করেছেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে নেতিবাচক, ইতিবাচক এবং নিরপেক্ষ মন্তব্যগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অধিকাংশ অনলাইন ব্যবহারকারী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতি নেতিবাচক এবং ঘৃণাত্মক মন্তব্য করেছেন, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের হতাশা ও অসন্তোষের ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনকল এবং অন্যান্য বক্তব্যে নাগরিকদের অস্থিরতা ও জনমানসে সরকারের প্রতি অনাস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
স্ট্রাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের পরিচালক(মার্কেটিং) মো: মেহেদী হাসান মন্তব্য করেছেন, “এই গবেষণা জনগণের মনোভাবের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে। শেখ হাসিনার ফোনকল ও বক্তব্যের প্রতি যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও জনগণের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভের প্রতিফলন।”
এছাড়া, ফোরামের পরিচালক(গণসংযোগ) , মাহবুব নাহিদ বলেন, “আমরা এই গবেষণার মাধ্যমে জানাতে চাই, শেখ হাসিনার সাথে আর কোনো জনসমর্থন নাই। তবে তার কথা বলা বলা বন্ধ করা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে যদি এই বিষয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে জনগণের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সরকারের কুটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা উচিত। “
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে বেশিরভাগ মন্তব্যই শেখ হাসিনার প্রতি অসন্তোষ, দুর্নীতি, এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে। এমনকি বেশ কিছু মন্তব্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি প্রশ্ন উঠেছে, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সুশাসনের অভাবকে তুলে ধরছে।