জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলেছে এবং মুর্যাল ভেঙে দিয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে জাবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই গণহত্যার চিত্র, আন্দোলনের ফুটেজ ও দলিল উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে ভাষণ দেবে—এই খবরে আমরা প্রতিবাদ জানাই। আমাদের মূল বার্তা হল- খুনী হাসিনা এদেশে সশরীরে অথবা অনলাইনে বক্তৃতার মাধ্যমে যতবারই ফেরত আসতে চাইবে ততবারই আমরা রুখে দিব৷
প্রদর্শনীর পর রাত ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বটতলা থেকে মিছিল নিয়ে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের দিকে যায়। ‘মিছিলে মুজিববাদ মুর্দা যাক’, ‘শেখ হাসিনার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’—এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের সামনে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ও শেখ হাসিনা হলের সামনের মুর্যাল ভেঙে ফেলে। এছাড়া, আল-বেরুনী হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে থাকা শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতি মুছে দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা চাই, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। জাহাঙ্গীরনগরে মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান নেই।
এরপর মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আরও গ্রাফিতি মুছে ফেলে এবং মুর্যাল ভাঙচুর করে।