পবিত্র রমজানে গ্যাস আমদানি করা হবে এবং ব্যয় সংকোচন করতে ভবিষ্যতে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, আসন্ন রমজান মাসে লোডশেডিং হবে না।
প্রয়োজনীয় অর্থ, ডলার-সংকট ও কোম্পানিগুলোর বকেয়া থাকার কারণে দেশে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির সংকট হচ্ছে। এসব সংকট মোকাবিলা এবং আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্মকালে কীভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়, তা নিয়ে গতকাল আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্রীষ্মকালে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের কুলিংয়ের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ হাজার মেগাওয়াট বাড়ে। অনেকে এসির কুলিং ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখেন। তবে এই তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি রাখলে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এতে লোডশেডিং মোকাবিলা সহজ হবে। লোডশেডিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চান তিনি।
জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, পবিত্র রমজানে ১৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট ও গ্রীষ্মকালে ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে গ্যাসের মজুত রয়েছে ৯০০ ঘনফুট। অবশিষ্ট গ্যাস আমদানির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করতে হবে। রমজান মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মকালে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বাড়ে। আসন্ন সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে। যাতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত না হয়।
গ্যাস-বিদ্যুৎ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী মৌসুমের অর্থের চাহিদা পূরণে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানানো হয়েছে।
ব্যয় সংকোচনের কারণে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে। ৭০-৭২ টাকায় গ্যাস আমদানি করে ৩০-৩২ টাকায় দেওয়া সম্ভব নয়।