Homeঅর্থনীতিজলবায়ু রক্ষায় যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব

জলবায়ু রক্ষায় যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব


জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে বহুপক্ষীয় সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রাজধানীতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের সেমিনারে তাঁরা এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

‘ক্যাটালাইজিং ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন অ্যাকশন অ্যান্ড মোবিলাইজিং ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক এ কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), জলবায়ু অর্থায়ন কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নে বহুপক্ষীয় অংশীদারির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উন্নয়ন ও বিনিয়োগকে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে না রেখে আমাদের উচিত সাসটেইনেবিলিটি, প্রকৃতি ও সমাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতায় বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষতি রোধ করা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু অভিযোজনে ১ ডলার বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে ১০ গুণ আর্থিক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সিনিয়র সাসটেইনেবিলিটি অ্যাডভাইজার জন মার্টন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, জলবায়ু অভিযোজনে বিনিয়োগ লাভজনক। তবে বৃহৎ পরিসরে প্রভাব আনতে হলে নীতিগত সমন্বয়ের গতি বাড়াতে হবে এবং বেসরকারি মূলধন উন্মুক্ত করতে হবে।’

সেমিনারে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গোয়েন লুইস, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং এবং ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর অরিঞ্জয় ধর অংশ নেন।

আলোচকেরা জানান, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতার জন্য ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন, যার ৪০ শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আলোচকেরা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) চালু করা হয়েছে, যা সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অংশীদারি জোরদার করবে।

সেমিনারে দুটি কেস স্টাডি উপস্থাপন করা হয়। ড. নন্দন মুখার্জি জলবায়ু-সহনশীল আবাসন নিয়ে গবেষণা তুলে ধরেন, যেখানে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারির মাধ্যমে অভিযোজন প্রযুক্তির প্রসারের সুযোগ আলোচনা করা হয়। এসিআই অ্যাগ্রো বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি কৃষি খাতে অভিযোজন বিনিয়োগ, জলবায়ু-স্মার্ট চাষাবাদ, টেকসই সেচ ব্যবস্থা ও স্থিতিশীল সরবরাহ ব্যবস্থায় বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ১২০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের জলবায়ু-সহনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে কাজ করছে। ব্যাংকটি দেশের প্রথম ইউটিলিটি-স্কেল সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের অর্থায়ন ও গ্রিন জিরো-কুপন বন্ড চালুর মাধ্যমে টেকসই বিনিয়োগ উদ্যোগ নিয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন অর্থায়ন কাঠামো এবং মিশ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে জলবায়ু বিনিয়োগে উৎসাহিত করার ওপর জোর দেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত