রোহিঙ্গা-সংকট সমাধানে সাত বছর ধরে অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আঞ্চলিক শক্তি চীন। কিন্তু প্রতিশ্রুতির তুলনায় দেশটির দিক থেকে বাস্তব পদক্ষেপ খুবই কম। আজ সোমবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রোহিঙ্গা-সংকট সমাধানে চীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে যুক্ত করে একটি ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা চালু আছে।
উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারে চীনের গভীর স্বার্থ আছে। আর মিয়ানমার বলতে বাংলাদেশ রাখাইন বোঝে। কারণ দেশটির সঙ্গে সীমান্তের বেশির ভাগই রাখাইনের সঙ্গে। কিন্তু রাখাইন অঞ্চল এখন আরাকান আর্মির দখলে। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সব অংশের প্রতিনিধিদের যোগাযোগ আছে। এ কারণে মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য চীনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য তাঁরা যে স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা ও অধিকারসহ ফেরত যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এটিই একমাত্র পথ। আর ফিরে যাওয়ার পর যাতে তারা আর নৃশংসতার শিকার না হয়, এটি আশিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্য কমিয়ে আনছে, এমনটি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার বড় দিক চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রাখা। এমন অবস্থায় মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান ও সিজিএস পরিচালক অধ্যাপক এ এস এম আলী আশরাফ সেমিনারে বক্তব্য দেন।