ডলারের ক্রমবর্ধমান মূল্যসহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণের ফলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ প্রদান করবে। যেসব ঋণগ্রহীতার ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটির বেশি, তাঁরা ঋণের সীমা বৃদ্ধি, বকেয়া পরিশোধে অতিরিক্ত সময় এবং এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন। তবে এসব সুবিধা কার্যকর হবে কমিটির সুপারিশ ও চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশের পর।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং ব্যাংকিং খাতকে সুসংহত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের মাধ্যমে সচল ও লাভজনক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে এবং ব্যাংকের ঋণ আদায় নিশ্চিত করতে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিটির কার্যপরিধির আওতায় ৫০ কোটি বা তার বেশি অঙ্কের যেসব ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে শ্রেণিকৃত হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত নীতিসহায়তা প্রদানসংক্রান্ত কমিটি সুপারিশ করবে, যাতে এসব প্রতিষ্ঠান পুনরায় লাভজনক অবস্থানে ফিরতে পারে এবং ব্যাংকের ঋণ আদায়প্রক্রিয়া সহজতর হয়।