গর্ভ বিদীর্ণ করে পৃথিবীর গর্ভ ফুলে উঠে,
নারী ও গাভীর মাঝে এখনো কোনো পার্থক্য নেই,
পিশাচ ও পশ্চিমের মাঝেও কোনো পার্থক্য নেই
কারণ পৈশাচিক শোষণ পৃথিবীর এই পৃষ্ঠায় প্রাত্যহিক নিয়ম,
প্রয়োজনকে অতিক্রম করে প্রতুল প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায় ওরা মগ্ন!
মাতৃত্ব মুনাফাখোরদের পুঁজির আশ্রয়স্থল,
দুগ্ধদান এখন পৃথিবীতে ধনের কারবার খেলা
সুডৌল স্তন ঢেকে যায় সুটে
অথচ এখানে,
এইখানে সবুজের পাড়ে, হাওয়া নিঙড়ে ঘ্রাণ আসে,
নারীর, নম্রতার, অনন্তকাল শোষণে ন্যুব্জ দাগাঙ্কিত নাভির
রমণীদের পিঠে বোঝা ও দু-প্রস্থ কাপড়ে ঢাকা দুগ্ধবতী বুক,
কব্জিতে শোণিত ও শিশু
পৃথিবীর জন্য নারীকে জন্মাতে হয়।
কেননা, তার গর্ভে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ
সময়ের সন্তান
সভ্যতার সরঞ্জাম!
ইঞ্জিন আর ইমারতের ঐশ্বর্যে আশ্রয়হীন মা!
মননের মা,
যে মা মমতার,
যে মা পূর্ণ আত্মাময়,
যে মা শুধুই মা!
কারখানার কাঠিন্য পিষে মা,
পেশি নিঙড়ে মজুরি পাওয়া মা!
একজন কবি মা,
কস্মিনকালের অজাচার বিরুদ্ধ মা!
জনতার স্বপক্ষ জননী,
সাম্য মঞ্চের সম্মুখ অভিসারিণী!
খোলা চুলে, উড়ন্ত আঁচলে, বন্ধনহীন মন ও দেহে
স্বীয় সাত্ত্বিক
স্বাধীন আমি,
সেই মা…