Homeদেশের গণমাধ্যমেজনগণ ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না : রাশেদ খাঁন

জনগণ ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না : রাশেদ খাঁন


জনগণ ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না উল্লেখ করে অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির উদ্যোগে স্বস্তির হাটের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রেজওয়ানের উদ্যোগে চালু হয়েছে এ স্বস্তির হাট। এখানে স্বল্পমূল্যে শাকসবজি ও বিভিন্ন তরকারি বিক্রি করা হবে।

হাট উদ্বোধনকালে রাশেদ খাঁন বলেন, সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছে না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, মানুষের নাভিশ্বাস উঠা শুরু হয়েছে। সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ভাঙতে না পারলে সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকারের সমালোচনা ব্যাপকমাত্রা ধারণ করেছে। এখনো পর্যন্ত শহীদের সঠিক তালিকা তৈরি হয়নি, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এখনো মানুষ হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। কেন গুরুতর আহদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হলো না? জনগণ কিন্তু ক্ষুধার্ত পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের গল্প শুনতে চায় না। সুতরাং বাজারে যান, সিন্ডিকেট ভাঙেন। রাস্তায় হাঁটেন, মানুষের কথা শোনেন। আপনারা তো মানুষের কথা শুনছেন না। রাজনৈতিক দলগুলোকে দূরে রেখে দেশ চালানো সম্ভব?

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা এখন রাষ্ট্রপতিকে সরাতে চান। কিন্তু সেটা তো শপথ নেওয়ার আগে দরকার ছিল। এখন রাষ্ট্রপতিকে সরাতে হলে আপনারাও তো অবৈধ হয়ে যাবেন। কারণ যার হাতে শপথ নিয়েছেন, তিনি না থাকতে পারলে আপনারা কীভাবে থাকবেন? তখনই বলেছিলাম, জাতীয় সরকার গঠন না করলে টিকতে পারবেন না। কথা শোনেননি। এখন কেন আপনাদের কথা দলগুলো শুনবে? আপনারা বিপ্লবী চেতনা ধারণ করেন না। করলে তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না করে, বিপ্লবী সরকার গঠন করতেন। এখন আধা সংবিধান, আধা বিপ্লবী চেতনায় সরকার চলছে।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ বলেন, আমরা সারা দেশে স্বস্তির হাট চালু করব। এটাই আমাদের প্রতিবাদ। সরকার যা পারছে না, আমরা তা করে দেখাতে চাই। আমাদের এখানে বেগুন ৫৫ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, লাউ ৩৫ টাকা পিস, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা কেজি, আলু ৫৭ টাকা কেজি, পিঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ১৫ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা পিস, ঢেঁড়স ৫৬ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০ টাকা কেজি।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, গণনেতা ইলিয়াস মিয়া, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত