বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন যদি বিলম্বিত করা হয়, কী কারণে বিলম্বিত করবেন, সে যুক্তিগুলো সরকারকে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৬ মাস পার হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্ট দেওয়ার পরে দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সামনে তা উপস্থাপন করার কথা । কিন্তু ১৪ দিন হয়ে গেলো এ ধরনের কোনও কার্যক্রম দেখা যায়নি সরকারের পক্ষ থেকে।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গতি পথ, মানুষের জীবন কীভাবে নির্বাহ হবে, আইনের শাসন কীভাবে নিশ্চিত হবে, সেটা এ দেশের মানুষেরাই নিশ্চিত করবে, বাইরের কোনও শক্তি নয়। এ দেশে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে আলোচনা হবে, ডিবেট হবে, দ্বিমত হবে। এটাই গণতন্ত্র।’
সামনের দিনে আমরা কী কী সংস্কার চাই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কীভাবে নির্বাচন চাই, কখন নির্বাচন চাই? এখনকার প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা, ব্যর্থতা, সিদ্ধান্তহীনতা। যদি আমরা এ সরকারকে সফল করতে চাই, তবে সরকারকে গাইড লাইন করতে তাদের তীব্র সমালোচনা করতে হবে। এমনকি সড়কে আন্দোলন করতে হতে পারে, সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য। অন্তর্বর্তী সরকার সব সিদ্ধান্ত যে নির্ভুলভাবে নেবে, এটা ঠিক নয়। সেটাকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দায়িত্ব সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক দল এবং গণতান্ত্রিক, শক্তিগুলোর ভূমিকা আছে।’
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন একটা জিনিস সবাই বুঝে গেছে যে, সংবিধান রি-রাইটের প্রস্তাবে কেউ নেই। সবাই সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।’
বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ সারথি দাসের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা বাছির জামাল, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।