Homeলাইফস্টাইলপাঁচ টাকা দামের মিষ্টি-নিমকি

পাঁচ টাকা দামের মিষ্টি-নিমকি


রসগোল্লার শিরায় কালোজিরা দেওয়া নিমকি ভিজিয়ে খাওয়া দিনাজপুর জেলার খাদ্যসংস্কৃতির পুরোনো ঐতিহ্য। হাটবাজারে তো বটেই, এলাকার খাবারের স্থায়ী দোকানগুলোতে এটি বিক্রি হয় প্রচুর। ফলে দীর্ঘকাল ধরে এই অঞ্চলের ভ্রাম্যমাণ হালুইকরেরা নিমকি ও মিষ্টি, অর্থাৎ রসগোল্লা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিক্রি করে আসছেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গ্রামীণ এ খাবারের দামও বেড়ে গেছে। কিন্তু খানসামার নিজাম উদ্দিন এখনো প্রতিটি রসগোল্লা ও নিমকি পাঁচ টাকা বিক্রি করে চলেছেন। এতে তাঁর লাভ কম হলেও বিক্রি বেড়েছে।

দুই দশকের বেশি সময় পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টি ও নিমকি বিক্রি করেন নিজাম। ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া গ্রামের পূর্ব মাদার ডাঙ্গার এই মিষ্টি বিক্রেতার বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে। যুবক বয়সে কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এক ভগ্নিপতির মাধ্যমে মিষ্টি ও নিমকি তৈরি শেখেন তিনি। পরে সেটিকেই বেছে নেন জীবিকা হিসেবে।

নিজ এলাকার গাভির দুধ সংগ্রহ করার পর পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় নিয়মিত মিষ্টি ও নিমকি তৈরি করেন নিজাম। প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৬ কেজি মিষ্টি এবং প্রায় সমপরিমাণ নিমকি তৈরি করেন তিনি। শুরুতে প্রতিটি মিষ্টি ও নিমকি মাত্র এক টাকায় বিক্রি করতেন তিনি। এই ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসারের ভরণপোষণসহ সব কাজ করেন নিজাম।

শীতের এক সকালে নিজামের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন এই প্রতিবেদক। সে সময় নিজাম তাঁর স্ত্রী সাহারা বেগম এবং ছোট ছেলে সোলাইমান ইসলামকে নিয়ে মিষ্টি ও নিমকি তৈরি করছিলেন। শীতের সকালে গরম মিষ্টি আর তার শিরায় ডুবিয়ে নিমকি খেতে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেকে। এই ব্যবসা করে নিজাম প্রতি সপ্তাহে আয় করেন তিন থেকে চার হাজার টাকা।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত