সময় প্রবহমান। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। কালের ধারায় এসব ঘটনা একসময় অতীত ঘটনা বা ইতিহাসে পরিণত হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই সব ইতিহাস চিন্তাচেতনা ও প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনার ইতিহাসে ঠাঁই হয় না।
আজ রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা।
ঘটনাবলি :
১৫০০ – ভিসেন্ড পিনৎসল ব্রাজিল আবিষ্কার করেন।
১৫৩১ – পর্তুগালে লিসবন শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
১৫৬৫ – বিজয়নগর সাম্রাজ্য ও দক্ষিণাত্যের সুলতানি রাজ্যের মধ্যে তালিকোটার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধের ফলে ভারতের সর্বশেষ হিন্দু রাজত্ব বিজয়নগরের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল।
১৬৯৯ – কার্লোউইজ সন্ধি অনুসারে তুরস্ক এবং অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, ভিনিস ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘটিত মহাযুদ্ধের অবসান হয়।
১৭৮৮ – গভর্নর আর্থার ফিলিপ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৪১ – হংকং ব্রিটিশ সার্বভৌম ভূখণ্ডে পরিণত হয়।
১৯১৮ – ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৩০ – ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ২৬ জানুয়ারিকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ বা ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯৫০ – ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়।
১৯৫০ – রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
১৯৫০ – পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, উড়িশা রাজ্য গঠিত হয়।
১৯৫২ – ঢাকার পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন।
১৯৫২ – মিশরের কালো শনিবার রায়োট: রাজধানী কায়রের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ নাগরিক ও মিশরীয় ধনী ব্যক্তিত্বের ওপর আক্রমণ করা হয়।
১৯৬১ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, জেনেট এফ ট্রাভলকে মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেন।
১৯৬৫ – হিন্দি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস।
১৯৮২ – তালিবাবাদে বাংলাদেশের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৮৬ – ইসরায়েল ও মিসরের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৯১ – সোমালিয়ার ক্ষমতা হতে সাইদ বারিকে অপসারণ; আলি মাহাদির জয়লাভ।
২০০১ – ভারতের গুজরাটে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
২০০৪ – রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই আফগানিস্তানের নতুন সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
জন্ম :
১৮৪৪ -গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বাঙালি বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য।
১৮৫০ – এডওয়ার্ড বেলামি, মার্কিন লেখক ও সমাজতন্ত্রী।
১৮৭৮ – ডেভ নোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৮৮৪ – এডওয়ার্ড স্যাপির, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী।
১৮৯০ – গোপালদাস মজুমদার খ্যাতনামা প্রকাশক।
১৯১১ – পলিকার্প কুশ, নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিদ।
১৯১৮ – নিকালোই চসেস্কু, রুমানীয় নেতা।
১৯২৬ – জন লোগি বেয়ার্ড প্রকাশ্যে টেলিভিশনের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন।
১৯৪৮ – মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির মহাসচিব, বাংলাদেশ।
১৯৬৩ – হোসে মরিনহো, পর্তুগিজ ফুটবল ব্যবস্থাপক ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়।
মৃত্যু :
১৮২৩ – এডওয়ার্ড জেনার, ইংরেজ চিকিৎসক, গুটি বসন্তের টিকার আবিষ্কারক।
২০১৪ – হোসে এমিলিও পাচেকো, মেক্সিকান কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক।
২০১৫ – আর কে লক্ষ্মণ নামে পরিচিত রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণ ভারতীয় ব্যঙ্গশিল্পী ও কার্টুনিস্ট।
২০১৬ – সাহেবজাদা ইয়াকুব খান, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
২০১৮ – সুপ্রিয়া দেবী, ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।