নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় মায়ের স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্লেড দিয়ে হত্যার দায়ে এক কিশোরীকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে ওই কিশোরী পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে নাটোর শিশু আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই আদেশ দেন।
মামলা দায়েরের সময় ওই কিশোরীর বয়স ছিল ১৬ বছর ২ মাস।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ সন্ধ্যায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাড়িবাড়ী উত্তরপাড়ার নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই সুলতান আহমেদ খান বাদী হয়ে সেলিনা খাতুনের ছোট মেয়ে ববি খাতুনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে জানায়, মায়ের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ব্লেড দিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছর ২০ আগস্ট ওই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামির জন্য নিযুক্ত আইনজীবী রাশেদা খাতুন জানান, অভিযুক্ত ববি খাতুন ঘটনার দিন থেকে হাজতে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জামিন পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। মামলাটি যুক্তিতর্কে আসার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন। তবে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় আদালত তাকে শিশু আইনের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।
জেলা শিশু আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত তরুণী পরবর্তী সময়ে যেদিন আদালতে হাজির হবেন বা পুলিশ যেদিন তাকে গ্রেফতার করবে, সেদিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।
শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দিনাই তাছরীন বলেন, ‘আসামির জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য বিবেচনা করে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’