সেতুটির কাজ শেষ করতে অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙতে হবে। নির্মাণাধীন সেতুর দুটি অংশে স্বামীহারা বাসন্তী রানী চৌধুরীর (৫৪) ৩ শতকের ভিটে পড়েছে। বিধবা এই নারীকে জমি ছাড়তে চাপ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু অধিগ্রহণের টাকা ছাড়া তিনি জমি ছাড়তে নারাজ। বাসন্তী রানী চৌধুরী বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটেতে বসবাস করি। এই ভিটে ছেড়ে অন্য কোথাও যাব, সেই উপায় নেই। অধিগ্রহণের টাকা পেলে অন্য জায়গায় বসতি গড়ব।’
সেতুর জন্য নিজের ভিটেমাটি হারাবেন সুমন ইসলামও। তিনি বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ না করেই সেতুর কাজ শুরু হয়। কাজও শেষ পর্যায়ে। এখন আমাদের ঘর ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব, সেই চিন্তা কারও নেই।’
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই ব্রিজটি দ্রুত হোক। কিন্তু তার আগে আমাদের অধিগ্রহণের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’