অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন।
পারিবারিক এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় তাঁকে ২ অক্টোবর ভর্তি করানো হয়েছিল উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর মেয়ে চিকিৎসক শায়লা চৌধুরী জানান, আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজ়িজে ভুগছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই দিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে রাজনীতিবিদ মাহী বি চৌধুরী জানান এ দিনই তাঁর বাবার মৃতদেহ বারিধারার বাড়িতে নিয়ে যাওযা হয়েছে। আগামিকাল মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দেহ নিয়ে যাওয়ার পরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। বিদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে তিনি রাজনীতি শুরু করেন। জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া এই দু’জনের আমলেই মন্ত্রী ছিলেন তিনি। শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদের উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধী দলের উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তিনি অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। সেই বছরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। পরে নিজেই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী।