হৃদয়ের রক্তমাখা প্যান্ট, শার্ট দেখে কান্না আটকে রাখতে পারেননি মা-বাবা কেউই। ছেলের স্মৃতি তুলে ধরে মা অর্চনা রানী বলেন, ১৮ জুলাই ছেলের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়েছিল। মিছিলে যাওয়ার বিষয়টি হৃদয় তখন লুকিয়েছিল।
ছেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্যাম্পাস দেখে স্তব্ধ ছিলেন শহীদ ফরহাদের বাবা গোলাম মোস্তফা। নির্বাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন ফরহাদের মাথায় থাকা দেশের পতাকার দিকে। তবে তিনি কিছুই বলেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি এই কক্ষ সাজিয়েছেন। দুই শহীদ শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্তমাখা কাপড়গুলো সংগ্রহ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণ রাখতেই এই উদ্যোগ।