লাভজনক, সুবিধাজনক ও শ্রমঘন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে ১০ লাখ মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির ধারা ব্যাহত করে বর্তমান জননন্দিত সরকার কী সুবিধা লাভ করছে, তা বেক্সিমকোর কর্মীদের জানা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ব্যক্তি দোষ করলে আইন অনুযায়ী প্রতিকার হবে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এ জন্য শাস্তি পেতে পারেন না।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রশাসন বিভাগের প্রধান আবদুল কাইয়ুম বলেন, সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে দায় পরিশোধের চাপ সৃষ্টি শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও। এই দায় বহন করার সক্ষমতা কোনো সরকারের বা ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। কারখানা বন্ধ রাখার প্রক্রিয়া যতই প্রলম্বিত হবে, বেক্সিমকোর দায়ও তাতে বাড়তে থাকবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন ‘জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। সেই বিপ্লব যদি হয়ে থাকে বৈষম্য লাঘবের জন্য, তাহলে আমরা কেন বৈষম্যের শিকার হব?’
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে এক শুনানিতে বেক্সিমকো গ্রুপের দায়ের পরিমাণ তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী মুনীরুজ্জামান। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ১৬টি ব্যাংক ও সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায়ের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ হিসাব ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের।