বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, প্রধান ইস্যুগুলোতে আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগ দেখালে চলবে না, প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে সংবিধানে স্বীকৃতি দিতে হবে। দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে সংস্কার কার্যক্রম টেকসই হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘গণশক্তি সভা’ আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের ঐক্যের জায়গাটা তৈরি করে— কীভাবে একটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট হিসেবে একবিংশ শতাব্দীর মানবিক, গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধ রাষ্ট্র, সমাজ তৈরি করতে পারি— তার ওপরই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। এই সরকারের ওপর খুব বেশি আশা করে লাভ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো যদি পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা না করে, তাহলে সরকারের পক্ষে একা তেমন কিছুটা করা সম্ভব হবে না। সরকার কিছুটা ভিত্তি তৈরি করতে পারে। কিন্তু বাকিগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে করতে হবে। দূরবর্তী চিন্তা করেই তাদের এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের পরে বাহাত্তরে আমাদের স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নে পর্যবসিত হয়েছিল। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও আশাটা হতাশায় পরিণত হয়েছিল। এবার ২০২৪ সাল, আমাদের সময়টা একটা পরিবর্তনের, একটা রূপান্তরের। বাংলাদেশকে তৈরির জন্য যে সুযোগটা এসেছে— আমাদের কোনও হঠকারিতায়, কোনও অনৈক্যের বীজের কারণে, কোনও অতি কথনের জন্য, এই সুযোগটা যেন আমরা না হারাই। এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
গণমুক্তি জোটের সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমান, জামায়াত ইসলামীর নেতা মো. কামাল হোসেন, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও গণমুক্তি জোটের কো-চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন প্রমুখ।