সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তদবিরের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনুচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
বিএনপির সমালোচনা করে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের স্ট্যাটাসের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তিনি এই স্ট্যাটাস দিলেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে আমরাও। উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলেরও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। বিভিন্ন সরকারি/সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির/চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত।’
এর আগে এক স্ট্যাটাসে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেক দিন স্থায়ী হবে, এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।’
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর, যেটা ১/১১-এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েক দিন আগে মাইনাস টু-এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না।’