সাইফ আলী খানের প্রাণ বাঁচিয়ে এখন প্রশংসায় ভাসছেন অটোচালক ভজন সিং রানা। তবে ছোট নবাবকে দুঃসময়ে সাহায্য করার জন্য কোনো পুরস্কার পাননি ভজন। সাহসী সেই অটোচালককে ১১ লাখ টাকা পাওয়ার দাবি করেন গায়ক। তিনি নিজেও পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মিকা নিজেও ভজন সিং রানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। গায়কের প্রতিশ্রুতি, ‘আমি নিজেই তাঁকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দিতে চাই।’
মিকা সিং তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রিয় সুপারস্টারকে বাঁচানোর জন্য তাঁর ১১ লাখ টাকা পুরস্কার প্রাপ্য। তাঁর হিরো সুলভ এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। যদি সম্ভব হয়, কেউ দয়া করে তাঁর যোগাযোগ নম্বর আমাকে পাঠাতে পারবেন? গায়কের দাবি অটোচালককে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দিতে চাই।’
জানা গেছে, সাইফের পক্ষ থেকে এখনো পুরস্কার না পেলেও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই অটোচালককে ১১ হাজার টাকা দিয়েছে। যদিও এই তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে হাসপাতালে ভজনকে দেখে জড়িয়ে ধরেছিলেন সাইফ। দোয়া করেন শর্মিলা ঠাকুরও। নবাব তাঁকে পুরস্কৃত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
অটোচালক ভজন সিং রানা জানান, তিনি জানতেন না যে তাঁর যাত্রী সাইফ আলী খান। জরুরি পরিস্থিতিতে তিনি সাহায্য করেন। মঙ্গলবার সাইফ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রানা বলেন, ‘তাঁরা আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন। তাঁর মা ও সন্তানেরাও উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। তাঁর জন্য আমি প্রার্থনা চালিয়ে যাব।’
এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকারে রানা বলেন, ‘সেই রাতে লিঙ্কিং রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একজন এসে রিকশা থামানোর অনুরোধ করেন। আমি জানতাম না যাত্রীটি কে। যখন দেখলাম, তিনি রক্তাক্ত শার্ট পরে ছিলেন। সঙ্গে একটি শিশু ও এক যুবকও ছিল।’
এই ঘটনার পরে পুলিশ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি ভুয়া পরিচয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে অভিযুক্ত।