দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় রয়েছে ধর্মভিত্তিক দলগুলো। দিন যত যাচ্ছে প্রত্যেক দলই বিভিন্নভাবে নিজেদের ‘ভোটের শক্তি’ জানান দিচ্ছে। আলোচনায় এবার নতুন যুক্ত হলো জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ‘জোটবদ্ধ’ হওয়ার ইঙ্গিত। এরই মধ্যে দল দুটির পক্ষ থেকে ‘ভোটকেন্দ্রে এক বাক্স’ রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদরাসা পরিদর্শন করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি ইসলামী দলগুলোর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
দুই আমির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, ইসলামী দলগুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিজেদের এক করে জনগণের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এ সময় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও তা অব্যাহত আছে। তবে এই প্রচেষ্টা সফল হবে যদি আমরা সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এই দুই দল চায় এবং এটি দেশের জন্য উপকারী হবে।’’
এ সময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য চাই এবং এটি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। নির্বাচনী সংস্কার শেষ হলে এবং যথাযথ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হলে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন মুসলমান। আমাদের উচিত ইসলামের বিধান মেনে একটি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে, সেখানে দুর্নীতি ও অশাসন আসবে না।’’
এ সময় জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্ণ হলেও আমরা স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এর মূল কারণ দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না, সেখানে দুর্নীতি এবং অশাসন আসবেই। যদি আমরা সমাজে আল্লাহর বিধান মানতাম, তাহলে দেশ এভাবে হত না।”
তিনি পুরোপুরি আল্লাহর বিধান মেনে চলতে চান এবং দেশের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।