কেন গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার করতে হবে—এর ব্যাখ্যা হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘নির্বাচিত সংসদের সংবিধান প্রণয়ন করা বা সংস্কার করার ম্যান্ডেট থাকে না। যাঁরা ম্যান্ডেটের প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের আমরা পাল্টা বলতে চাই, আপনার ভুল করছেন। সংসদে গিয়ে আপনার কাজ হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। সেটি করবেন বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে। কিন্তু যখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় নতুন একটি সংবিধান বানাতে হবে, তখন আসলে আপনাকে যেতে হবে গণপরিষদে। আমরা সেই গণপরিষদের কথা বলছি।’
সারোয়ার তুষার বলেন, গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়ন করার পরে তা আইনসভায় রূপ নেবে। অর্থাৎ সংসদে রূপ নেবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দুটি নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর বড় তাড়াহুড়া, সে জন্য আমরা দুটি নির্বাচনের রোডম্যাপ বলিনি। একটাই নির্বাচন হবে, সেটা গণপরিষদ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের পরে ওই গণপরিষদই সংসদে, আইনসভায় রূপ নেবে। এটা পৃথিবীর বহু দেশে চর্চিত বিষয়। আমাদের দেশেও এটা করতে চাই। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হওয়া উচিত।’