Homeপ্রবাসের খবরআরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড


কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৩৩ বছর বয়সী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। স্থানীয় সময় আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহে অবস্থিত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই রায় দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের কিছু পরে শিয়ালদহে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস কলকাতা পুলিশের সাবেক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সঞ্জয়কে গত শনিবার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ বছর বয়সী স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ রায় দেওয়া হলো।

শনিবার সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪ (ধর্ষণের শাস্তি), ৬৬ (মৃত্যুর কারণ ঘটানোর শাস্তি) এবং ১০৩ (হত্যার শাস্তি) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করা সিবিআই যে প্রমাণ হাজির করেছে তা যথেষ্ট ছিল এবং সেই ভিত্তিতে রায় ঘোষিত হয়।

শনিবার রায় ঘোষণার আগে বিচারক দাসের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় রায় বলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আদালতে উপস্থিত করার পরেও সঞ্জয় তাঁর নির্দোষ হওয়ার দাবিতে অটল থাকেন।

সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী এই অপরাধকে ‘বিরলতম’ হিসেবে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানান। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস অটুট রাখতে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানাই।’ তবে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প শাস্তি দেওয়ার প্রার্থনা করেন যাতে আসামি সংশোধনের সুযোগ পান।

মৃত চিকিৎসকের মা–বাবার পক্ষের আইনজীবী সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে সঞ্জয় রায়ের দায়িত্ব ছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি যাকে রক্ষা করার কথা, তাঁর বিরুদ্ধেই এমন জঘন্য অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটনা ঘটে। এর পরপরই ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা দেশের অনেক অংশে রোগীদের দেখতে অস্বীকার করে দেন বিচারের দাবি। তাঁরা ভুক্তভোগীর বিচার এবং হাসপাতালে নারীদের নিরাপত্তা দাবি করেন।

এ ইউ/ 



Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত