Homeজাতীয়পুরা জাতি কনফিউজড! কি বললেন গোলাম মওলা রনি?

পুরা জাতি কনফিউজড! কি বললেন গোলাম মওলা রনি?


সম্প্রতি নিজ ফেসবুক একাউন্টে সমালোচনামূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন সাংবাদিল গোলাম মাওলা। অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেই লেখনি। আবার অনেকে করেছেন নেতিবাচক মন্তব্যও। 

সেখানে তিনি লিখেছেন, কনফিউজড! পুরো জাতি কনফিউজড! বহু আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি কাহিনি শুনিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের কোনো এক সময়ে তার সঙ্গে আমার সুদীর্ঘ আলোচনা হয়, যা শেষ অবধি ব্যক্তিগত আড্ডা বা খোশগল্পে পরিণত হয়। 

২০১৯ সালে তারেক রহমানকে শোনানো একটি বড়সড় ঐতিহাসিক কাহিনি কেন ২০২৫ সালে এসে আপনাদের শোনাতে এসেছি, তা-ও ব্যাখ্যা করা জরুরি। এমন লিখে তিনি বলেছেন, বর্তমানে মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলেসের যে ভয়াবহ দাবানল তা কেবল আমেরিকাবাসীকে নয়, তামাম দুনিয়ার সভ্যতা-প্রযুক্তি-উন্নতি সবকিছুকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তদ্রুপ ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দলসমূহ, জনগণ তো বটেই এমনকি গরুছাগলও মারাত্মক বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছে।

৫ আগস্টের পর অবলা গরুছাগল লুট, পুকুরের মাছ লুটের মতো ঘটনা কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যেভাবে হয়েছে, তা বাংলার ইতিহাসে ইতোপূর্বে ঘটেনি। 

পৃথিবীর বিভ্রান্তির মধ্যে রাজনৈতিক বিভ্রান্তির ক্ষতিকর দিক সবচেয়ে ভয়াবহ। রাজনীতিতে বিভ্রান্তির কারণে কোটি কোটি মানুষ মারা পড়ে। দেশে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়- যুদ্ধবিগ্রহ, মারামারি, হানাহানি অনিবার্য হয়ে পড়ে। বিভ্রান্তি দীর্ঘ মেয়াদে চললে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠিত হয়। গৃহযুদ্ধ-অরাজকতার কারণে কখনো কখনো জাতি গোষ্ঠী বিলুপ্ত হয়ে যায়। 

২০১৯ সালের বিভ্রান্তি আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বরং তা ফুলে ফেঁপে ২০২৫ সালে এত বিকট আকার ধারণ করেছে যে পুরো জাতিগোষ্ঠী স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা জানি না, আগামীকাল দেশের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে। 

আগামীর প্রধানমন্ত্রী কে, রাষ্ট্রপতি কে এসব যেমন আমরা কেউ জানি না। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটি কোটি শ্রমজীবী যারা দিন আনেন দিন খান তারা আজ কাজ পেলেন কিন্তু আগামীকাল পাবেন কি না, তা জানেন না। 

আমাদের জাতীয় বিভ্রান্তির মূল কারণ নেতৃত্বসংকট। কোনো অযোগ্য লোক পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের নেতৃত্বে বসলে কী হয় তা বোধ করি বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াই সম্মানিত পাঠক বুঝতে পারছেন। অযোগ্য নেতৃত্বের প্রধান দুর্বলতা সে নিজে বুঝতে পারে না, সে কী করছে এবং কী তার করা উচিত। দ্বিতীয়ত নেতার প্রধান গুণ হলো তার হুকুম করার ক্ষমতা ও বিশ্বাস। তার সৌন্দর্য হলো ন্যায়পরায়ণতা। আর সার্থকতা হলো সাহসিকতা তথা বীরবিক্রমতা।

উল্লিখিত গুণাবলিসম্পন্ন মানুষের হাতে যখন জাতির নেতৃত্বের ভার অর্পিত হয় তখন জাতির মধ্যে কোনো রকম বিভ্রান্তি দেখা দেয় না। এসব নিয়ে ইতিহাসের জনক হিরোটাস যে আলোচনা করেছেন, সেখানে তিনি অসাধারণ একটি ঐতিহাসিক কাহিনি বর্ণনা করেছেন, যা আমি ২০১৯ সালে তারেক রহমানকে শুনিয়েছিলাম এবং আজকের নিবন্ধে আপনাদেরও শোনাব।

ইতিহাসে সম্রাট যার্কসেসকে একজন সফল এবং মহান রাষ্ট্রনায়ক বলা হয়। তার বিপুল যুদ্ধ আয়োজন সত্ত্বেও কেবল অতি আত্মবিশ্বাস, সময়ক্ষেপণ, প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবার কারণে তিনি গ্রিসের সেই যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিলেন। 

২০১৯ সালে উল্লিখিত গল্পটি তারেক রহমানকে কেন শুনিয়েছিলাম তা আজ আর মনে নেই। ২০২৫ সালে একই গল্প বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কেন শোনাতে চাচ্ছি, তা-ও বুঝতে পারছি না। 





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত