মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জনসাধারণ যেন ইলিশ মাছ খেতে পারে, সেটা যেন তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখা যায়, সে ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, এটা খুবই ক্ষুদ্র উদ্যোগ, জানি আপনারা সবাই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। আমরা এটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো, আরও বেশি কী করে দিতে পারি, সেই চেষ্টা করে যাবো।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ভবনের সামনে ‘ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রয়’ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী কমলে ইলিশের দাম কমানো সম্ভব । তিনি আরও বলেন, বাজারে যে ব্যবস্থা আছে, তাতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম কমানো কঠিন। তবে আমরা প্রমাণ রাখতে চাই, মাছ ধরার উৎস থেকে যেন সরাসরি বিক্রি জায়গায় আনতে পারি, তাহলে এটার দাম কমানো সম্ভব। আমরা বাজারের মধ্যস্বত্বভোগী কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, বিএফডিসির পরিচালক অদ্বৈত চন্দ্র দাস প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা বিএফডিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ইলিশ মাছ বিপণন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন। এই কার্যক্রমের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়-ইলিশ কিনে হোন ধন্য’। স্বল্প মূল্যের ইলিশ বিক্রির কর্মসূচিতে ৪৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকায়। উদ্বোধনের পর ২০ জন ক্রেতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার হাত থেকে মাছ কেনার সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় ক্রেতারা জানান, বাজারে অনেক বেশি দাম হওয়ায় সবশেষ কবে ইলিশ কিনেছেন তাদের মনে নেই। তবে এখন কম দামে ইলিশ কিনতে পেরে তারা খুশি।