Homeদেশের গণমাধ্যমে৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন

৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন


যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হালিম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুমনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এসময় আসামির জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রার্থনা করেন।

গত ২২ অক্টোবর হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।

জানা যায় -বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুম্মার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ব্যারিস্টার সুমন এ মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

গত ২২ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্রতা করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেইসবুকে আইডি থেকে ব্যারিস্টার সুমন লেখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দো’আ করবেন সবাই’।

এর পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তাও দেন তিনি। ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে তিনি জানান, ‘রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকের মতো তিনি দেশত্যাগ করেননি। আমি দেশেই আছি, ঢাকা শহরেই আছি। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি নিজের অবস্থান একটু গোপন রেখেছি। ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘দেশ সংস্কারে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি কাজ করবো।’

এ বছর ০৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও তা পাননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এই আইনজীবী। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে আর সবার মতো সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত